বর দৃষ্টিপ্রতিব’ন্ধী, কনে বাকপ্রতিব’ন্ধী

এলাকাবাসী মিলে বিয়ে দিলেন দৃষ্টি ও বাকপ্রতিব’ন্ধী দুই ব্য’ক্তিকে। বরিশাল নগরীর পলা’শপুর গ্রচ্ছগ্রামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় ঘোড়ার গাড়িতে করে।

সোমবার দুপুরে ছিল বর-কনের গায়ে হলুদ। চাঁদা তুলে অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে সকল আয়োজন করা হয়। আনন্দে মাতেন স্থা’নীয়রা। বর দৃষ্টিপ্রতিব’ন্ধী কালাম বেপারী (২২) এবং কনে সুমা আক্তার (১৮) শ্রবণ ও বাকপ্রতিব’ন্ধী।

বর কালামের গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জে’র কালিগঞ্জ গ্রামে। মা-বাবা নেই। তারা দুই ভাই। কালাম ছোট। বড় ভাই আবদুস সালামও বুদ্ধিপ্রতিব’ন্ধী। শ্রমিকের কাজ করে যা আয় করেন, তা দিয়ে পলা’শপুরের গুচ্ছগ্রামে ছোট্ট একটি খুপরি ভাড়া করে থাকেন। আর কনে সুমা’র বাবা বাবুল পালওয়ান। তিনি রিকশা চালান। দুই মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে পাঁচজনের সংসার চলছে টেনেটুনে।

বিয়ের উদ্যোক্তা সুমন সরদার বলেন, ‘রোববার বিকেলে আম’রা ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। তাদের বিয়ে নিব’ন্ধন করি। সেখানে ফিরনি-মিষ্টি দিয়ে উপস্থিত লোকজনকে আপ্যায়ন শেষে ঘোড়ার গাড়িতে করে কনেকে বরের বাড়িতে তুলে আনি। বর-কনের বাড়ি পাশাপাশি হলেও ঘোড়ার গাড়িতে বর-কনেকে পুরো এলাকা ঘোরানো হয়। এ সময় উৎসুক লোকজন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জা’নান বরকনেকে।

বিয়ের জন্য এলাকার ২৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে বর-কনের পোশাক, আপ্যায়ন ব্যয় থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। স্থা’নীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেনও ছিলেন এই উদ্যো’গে। তিনি বিয়ের উপহার হিসেবে বরকে হুইলচেয়ার দেন।

তবে বিয়ের পর কালাম কিছুটা চিন্তিত হয়ে প’ড়েছেন সংসার চালানো নিয়ে। এ জন্য বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছেন। তবে নববধূ সুমা স্বামীর এ চিন্তার বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছে না। বিয়েতে খুশির বিষয়টি তার পুরো চেহারায় ফুটে উঠেছে।